নিজস্ব প্রতিবেদক:

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় পৃথক দুটি স্থানে দিনভর অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পরিচালিত দুটি চুনা কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে,এস্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

ওই অবৈধ চুনা কারখানা দুটিতে প্রতি মাসে অন্তত ৬০ লক্ষ টাকার গ্যাস ব্যবহার করা হতো বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলে অভিযান। সকালে অভিযানের শুরুতে মানাবে ওয়াটার পার্কের বিপরীত পাশে পুরান বাউশিয়া এলাকায় একটি অবৈধ চুনা কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, কারখানাটি এস্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এরপর,বিকালে চরবাউশিয়া ফরাজিকান্দী এলাকায় বাগানের ভেতর নির্মাণ করা একটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন পূর্বক কারখানাটি এস্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় তিতাস’

এ অভিযানে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মিল্টন রায়। অভিযান শেষে তিনি বলেন, ‘গ্যাস রাষ্ট্রীয় সম্পদ যা অবৈধভাবে বা চুরি করে ব্যবহার করা অপরাধ। আমরা গজারিয়া উপজেলার দুটি এলাকায় অভিযান চালিয়েছি।

এ সময় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পরিচালিত দুটি কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে’। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন অভিযানের সময় কারখানার মালিক পাওয়া যায় না। গত কয়েকটি অভিযানে শেষে কারখানা মালিক ও জমির মালিক সহ ৭ টি নিয়মিত মামলা হয়েছে।

তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ মেঘনাঘাট অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সুরজিত কুমার সাহা বলেন,গত কয়েক মাস ধরে আমরা গজারিয়া উপজেলায় অভিযান চালাচ্ছি। চক্রটি অভিযানের পরে নতুনভাবে কৌশল পরিবর্তন করে নতুন কোন জায়গায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে কারখানা চালু করে ফেলে। আমরা নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছি।

আজ গজারিয়া উপজেলার দুটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কারখানা দুটিতে প্রতি মাসে অন্তত ৬০ লক্ষাধিক টাকার গ্যাস চুরি করা হতো’। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন গজারিয়া থানা পুলিশ ও গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।