
শুভ ঘোষ,মুন্সিগঞ্জ:
৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে,মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখাঁনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য র্যালি।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বিএনপির ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশনেয় বিএনপির স্থানীয় কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
র্যালিটি উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে থেকে শুরু হয়ে,বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে শেষ হয় উপজেলার রাজদিয়া এলাকায় গিয়ে।

এ সময় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি, আলহাজ্ব শেখ মোঃ আব্দুল্লা।
এর আগে,সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী।
এদিন কর্মসূচি ঘিরে,সকাল থেকেই দলীয় পতাকা ও নানা রকম ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে এসে, মিছিলে যোগদেয় নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি নেতা কর্মীদের বিভিন্ন দলীয় স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
বিএনপি’র পক্ষে বৃহৎ জনমত গড়ে তোলার পাশাপাশি বিএনপি-র ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে, এমন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

কর্মসূচিতে বক্তারা জানান,১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা তখনকার রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল।
এছাড়া, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত ঐক্যের বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে,উপজেলা বিএনপির সভাপতি বলেন,আওয়ামী শাসনামলে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে পারেনি দলটি। এবার দিবসটি উপলক্ষে গত ৫ নভেম্বর থেকে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী সারাদেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা করেছে।
তিনি আরও বলেন,তৎকালীন সময় অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন স্বাধীনতার ঘোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। ফরে বিএনপি সহ সমমনা দলগুলো ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
বিগত সময় বিএনপি সরকারের আমলে এই দিনটিতে সরকারি ছুটি ছিলো।

